Alfred Tennyson – Bangla Details

Locksley Hall.

Bengali summary

Alfred Tennyson তার বিখ্যাত কবিতা Locksley Hall ১৮৩৫ সালে রচনা করেন এবং ১৮৪২ সালে Poems কাব্যগ্রন্থে প্রকাশ করেন। কবিতার স্পিকার কবি নিজে বলেই অনেকে ধারণা করেন। Locksley Hall নামক স্থানে স্পিকার তার শৈশবের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন তারই স্মৃতিচারণ করছেন যখন একদল সৈন্যের সাথে Lockley Hall এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তার ছোটবেলায় এইখানে কাটানোর অনেক স্মৃতিই তার মনে ভেসে উঠছে। কোন এক বসন্তের দিনে সে তার কাজিন এমি কে প্রম নিবেদন করেন। এমিও স্পিকারের কাছে নিজের মনে কথা বলেন যে সে তাকে ভালোবাসে ও তার সাথে অনেকটা সময় থাকতে চায়। কবির কাছে ঐ মুহূর্ত গুলো স্বর্গীর সুখের মত লাগতো। কিন্তু একদিন এমির অনেক ভালো জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে যাতে এমির বাবা-মা এমিকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়। এমির যার সাথে বিয়ে হয়েছে তার বয়স এমির থেকে অনেক বেশি ছিলো। স্পিকার বিভিন্ন ভাবে এমির স্বামীকে ছোট করে কথা বলে। সে বলে এমি এমন একজন কে বিয়ে করেছে যার মধ্যে কোন ফিলিংস নাই। সে (এমি) কেবল অর্থনৈতিক ভাবে ভালো থাকার জন্য বিয়ে করেছে। এমির তার স্বামীর সাথে ইমোশনাল কোন সম্পর্ক ছিল না স্পিকার মনে করে এমির স্বামীর যখন তার প্রতি মোহ কেটে যাবে তখন এমি কে কুকুর বা ঘোড়ার মত ট্রিট করবে। সে আরো মনে করে এমির এমন কাউকে বিয়ে করার চেয়ে মরে যাওয়া ও ভালো। স্পিকার মনে করেন এমি কখন ও তার স্বামীর সাথে সুখী হতে পারবেনা সে স্পিকারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত কে মিস করবে তার স্বামীর কাছে গেলে৷ জৈবিক কারণে হয়ত এমি নিজেকে তার স্বামীর কাছে সফে দিবে কিন্তু মন থেকে কখন ও তারা এক হতে পারবেনা। তাদের মিলনের পর এমির বাচ্চা ও হবে কিন্তু সে প্রকৃত সুখ পাবেনা। এমির যখন বাচ্চা হবে তখন হয়ত এমিও তার বাচ্চাদের সাথে তাই করবে যা এমির বাবা মা তার সাথে করেছে, এসব বলার পর স্পিকার নিজেকে এসব disillusionment থেকে মুক্ত করতে চায়। স্পিকার frustrated হয়ে সমাজ ব্যবস্থাকে দোষ দিয়ে থাকে যেখানে ভালবাসার থেকে টাকা পয়সা কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় । সমাজ ব্যবস্থাকে দোষারোপ দিতে দিতে এক সময় স্পিকার কল্পনা করে ভবিষ্যতে এমন এক সমাজ ব্যবস্থা হবে যেখানে কোন বৈষম্য থাকবেনা। বৈজ্ঞানিকভাবে সব কিছু উন্নত থেকে উন্নততর হবে। পরক্ষণে সে বুঝতে পারে তার বন্ধুরা তাকে ডাকছে সে তখন মনে মনে বলে নারীরা পুরুষ থেকে অনেক দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তখন সে আবারও কল্পনার জগতে চলে যায়, সে ভাবে Orient নামক এক জায়গায় সে চলে যাবে যেখানে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া থাকবে না। সে সেখানে সেভেজ মহিলাকে বিয়ে করবে ও তার তখন বাচ্চা হবে। পরক্ষনেই স্পিকার চিন্তা করেন আধুনিকতার চিন্তা ভাবনা ছাড়া সমাজে থাকার কোন মজা নাই তাই সে বর্তমান সমাজেই থাকতে চায়। একটা সুন্দর সমাজের আশায় স্পিকার locksley hall ত্যাগ করে চলে যায় । আর এইভাবে কবিতাটি শেষ হয়।

Oenone.

Bengali summary

বিখ্যাত ভিক্টোরিয়ান কবি Alfred Tennyson তার কবিতা Oenone (ঈনান) ১৮২৯ সালে Dramatic monologue এ রচনা করেন। এই কবিতার বিষয়বস্তু গ্রিক মিথলজি থেকে নেওয়া হয়েছে। গ্রিক মিথলজির নদীর দেবতা কেব্রেন (Kebren) এর কন্যা। ঈনানের তার স্বামী (প্যারিস) এর সাথে কিভাবে দেখা হয়েছে ও প্যারিস কেন ঈনান কে ছেড়ে চলে গেছে কবি Alfred তাই এই কবিতায় বর্ণনা করেছেন। কবিতার টাইটেল ক্যারেক্টার ঈনানের সাথে ‘মাউন্ড-আইডা’ তে প্যারিস নামক এক রাখালের দেখা হয়। তারা প্রথম দেখাতেই দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে যায় ও বিয়ে করে। একবার ঈনান ও প্যারিস অ্যাকিলিসের বাবা-মা Peleus & Thetis এর বিয়েতে যায় সেখানেই বাদে ঝামেলা। কলহের দেবী Eris একটা গোল্ডেন আপেল প্যারিসের হাতে দেয় যাতে লেখা ছিল To the Fairest. বিয়েতে উপস্থিত তিন দেবী- Hera, Athena (Pallas) & Aphrodite তারা সবাই এই আপেল টা পেতে চায়। তারা সবাই প্যারিস কে উপহারের প্রলোভন দেখায় ও বলে তাদেকে গোল্ডেন আপেল দিতে। Hera প্যারিসকে ‘রাজকীয়-পাওয়ার’ দেওয়ার অফার দেয়, Athena তাকে ‘জ্ঞান ও প্রজ্ঞার’ অফার দেয় এবং Aphrodite তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘সুন্দরী নারী’ দেয়ার প্রতিজ্ঞা করে। প্যারিসও নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে Aphrodite এর অফার গ্রহন করে যার ফলে পরবর্তীতে ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়। ঈনান ভেবেছিল তার স্বামী জ্ঞান কে বেচে নিবে কিন্তু সে সবচেয়ে সুন্দরী নারী ‘হেলেন’ কে বেছে নিয়েছে। হেলেনের জন্য প্যারিস ঈনান কে ছেড়ে দিয়েছে। স্বামীর ছেড়ে যাবার শোকে ঈনান কাতর হয়ে গেছে। সে কিছুতেই এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেনা। সে এখন একা একা ‘মাউন্ড-আইডা’ তে বসে স্বামীর জন্য বিলাপ করে। সে মরে যেতে চায় কিন্তু পেটে নিজের বাচ্চা থাকাতে সে মরতে পারেনা। সে মাউন্ড-আইডার কাছে নিজের মৃত্যু কামনা করে।

The Lotos Eaters.

Lotos Eaters কবিতার ১ম ও ২য় অংশের গঠন এক রকম নয়। প্রথম অংশ ৯ লাইনের ৫টি স্তবকে বিভক্ত। এগুলোকে স্পেনসারিয়ান স্তবক (Spenserian stanzas) বলে কারন স্পেনসার (Edmund Spenser) তার দ্যা ফেয়ারী কুইন (The Faerie Queene) এ এই ধরনের ৯ লাইনের স্তবক ব্যবহার করেছিলেন। এই স্তবকগুলোতে ছন্দ বিন্যাস ‘ABABBCBCC’ এই স্তবক গুলোর ১ম ৮ লাইন এর মাত্রা হল ‘iambic pentameter’ বা পঞ্চমাত্রিক। কিন্তু ৯ম লাইনটি ৬ মাত্রার। এটা ‘alexandrine’ নামে পরিচিত। ২য় অংশটি – যা নাবিকদের সমবেত সঙ্গীত (CHORIC SONG) নামে পরিচিত। এর গঠন এলোমেলো। এর কোন মাত্রাবিন্যাসও নেই।

Bangla Summary

আলফ্রেড লর্ড টেনিসন তাঁর ‘The Lotos Eaters’ কবিতায় একদল নাবিকের অন্তহীন সমুদ্রযাত্রা শেষে অজানা এক স্থানে অবতরণ করার কথা বলেছেন। গ্রীক পুরাণকাহিনী দ্বারা প্রভাবিত এ কবিতায় আমরা হোমারের ওডিসি মহাকাব্যের একজন নায়ক ইউলিসিসের গৃহে ফেরা প্রত্যক্ষ করি। হোমারের অডিসি মহাকাব্যের নায়ক অডিসিয়াস (ইউলিসিস) ট্রয় যুদ্ধ শেষে তিনি দেশে ফেরার পথে জাহাজসহ নাবিকদের নিয়ে নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হন। আটকা পড়ে থাকেন নানা সময়ে নানা দ্বীপে। নাবিক দল সীমাহীন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তারা যেন ক্লান্ত অবসন্ন। এভাবেই কাটতে থাকে বছরের পর বছর। তার সঙ্গী নাবিকেরা ঘরে ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। কিন্তু সহজে ফেরা হয় না তাদের। তাদের জাহাজ বার বার আটকে যায় নানা বাধা বিপত্তির মুখে। এ কবিতায় সেই সব হতাশ নাবিকদের মনের আর্তির প্রকাশ ঘটানো হয়েছে। কবি টেনিসন তাঁর এ কবিতায় ইউলিসিসের সঙ্গী নাবিকদের হৃদয়ের মর্মবেদনা এবং শেষে বাড়ি ফেরার চিন্তা চেতনার হাল ছেড়ে দেওয়ার অসহায় দিকটির অসাধারণ প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

কবিতাটি শুরু হয়েছে ইউলিসিস এর একটি আদেশের মাধ্যমে যেখানে তিনি তার নাবিকদেরকে সাহস রাখতে বলছিলেন। কারন তারা অনেক দূর থেকে একটি নতুন দ্বীপের দেখা পেয়েছিলেন। অবশেষে সেদিন বিকেলবেলা তারা এই দ্বীপে প্রবেশ করেন। যেখানে চিরকাল যেন বিকেল বেলা বিদ্যমান। যেখানে ঝলমলে বহমান নদী সাগরের সাথে মিশেছে। পাহাড় চুড়া গুলো ছিল তুষারাবৃত। সেখানে মায়াময় নিরীহ দৃষ্টির লটোস খাদকদের সাথে তাদের দেখা। তারা তাদের কাছে লটোস ফুল আর ফল নিয়ে আসে। যারাই এই লটোস ফুল বা ফল খায় তারাই যেনো এক গভীর আচ্ছন্নতায় ভোগে। সবকিছু কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয়। পাশের মানুষের কথাও ভালো ভাবে বুঝা যায় না। মনে হয় যেনো ইথাকায় (তাদের আবাসস্থল) বসে বসে তারা সুন্দর স্বপ্ন দেখছে। তাদেরকে একরাশ ক্লান্তি চেপে ধরে৷ যেই এই ফল খেয়েছে তার মুখ থেকেই বের হয় একই কথা, ‘আর বাড়ি ফিরবো না।’

নাবিকগণ হাল ছেড়ে দিয়ে নিজ গৃহের আশা ত্যাগ করে নিজেরাই নিজেদের মাঝে সাহস সঞ্চয় করার চেষ্টা করছেন। তারা চায় নিরাপদ আশ্রয়, নিরাপদ তন্দ্রা আর অপার শান্তি। তারা জানে, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত কিন্তু ফেরার কোনো পথ খোলা নেই। তাই তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে এই বলে যে শুধু অহেতুক বিলাপ করার কোনো অর্থ নেই তার চেয়ে এই ভালো, এই সীমাহীন সমুদ্র, এই নির্জন দ্বীপ, তারার আকাশ, জলের কুলকুল ধ্বনি, উত্তাল তরঙ্গমালা এসব দেখে দেখেই সময় পার করবে তারা। শেষের স্তবকগুলোতে কবি তাদের বানোয়াট দেবদেবীদের সমালোচনা করেছেন। তারা ইলাইসিয়ামে বসে/শুয়ে মদে চূড় হয়ে আছে কিন্তু মানবজাতীর প্রতি তাদের কোন চিন্তা নেই। তারা নিজেদের মাঝে ঝগড়া ও কলহে ব্যস্ত আর এর সাথে পৃথিবীর মানুষদেরও দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

তারা ভাবে সময় তো অনেক পার হয়ে গেছে, তাদের স্ত্রী সন্তানদের কাছে তখন ফিরে গেলে তাদেরকে হয়তো ওরা ভূত বলে সন্দেহ করবে। সন্তান আর পরিবারের শান্তি নষ্টের কারণ হবে তারা। তারা ভাবে যা ভেঙ্গে গেছে সেটা তেমনি থাক তারা এই সীমাহীন সমুদ্রের এই দ্বীপে লটোস আহার করে প্রকৃতির শোভা নিরীক্ষণ করবে আজীবন। নাবিকরা কামনা করছে এখন একান্ত বিশ্রাম। তারা দেখেছে যুদ্ধ, হানাহানি, শুনেছে সমুদ্রের ভয়াল গর্জন, এবার আর তারা সমুদ্রে যেতে চায় না, যত দিন বেঁচে থাকবে তারা এই দ্বীপে থাকতে চায় দৌড়ে বেড়াতে চায় শস্য ক্ষেতের ভেতরে, মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সাথে আর তারা নিজেদের যুক্ত করতে চায় না কঠোর শ্রমে। গৃহ আজ তাদের কাছে অতীত ইতিহাস। কোনোদিন হয়তো সেখানে ফেরা হবে না তাদের। মোট কথা, কবি টেনিসন তাঁর ‘The Lotos Eaters’ কবিতায় ট্রয় যুদ্ধ ফেরত একদল নাবিকের অসহায়ত্বের মাধ্যমে তাদের সান্ত্বনা খোঁজার দিকটি পরম নিষ্ঠার সাথে তুলে ধরেছেন।

পৃথিবীতে মানুষ তার দীর্ঘ সময় কাটায় নানা কর্ম প্রবাহের মাঝে, পাড়ি দেয় জীবনের অনেকটা পথ। জীবনের পথে পথে চলতে গিয়ে সে প্রত্যক্ষ করে কতো না আনন্দের উৎস, কতো না বিস্ময়, কতো না হতাশা, শেষে তার মন ক্লান্ত হয় নিজের মধ্যে ফেরার জন্য। কর্মকাণ্ড দিনের শেষে মানব চায় এক দণ্ড শান্তি। একটু নিরুপদ্রবে নিদ্রায় ঢলে পড়তে চায়। কারণ জীবনের পথ পাড়ি দিতে দিতে সে আজ বড়োই ক্লান্ত। মানব জীবনের এই অন্তহীন পথ চলা এবং তার বিশ্রামের যে চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা সেই আদি বিষয়টিই প্রকাশ হয়েছে এই কবিতায়!

Tithonus.

১৮৩৩ সালে যখন প্রথম কবিতাটি লেখা হয় এর নাম ছিল টিথোন। এই সময় কবিতাটি কেউ তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি। তবে ১৮৫৯ সালে যখন এটি টিথোনাস নামে প্রকাশ করা হয় তখন এটি বেশ পাঠকপ্রিয়তা পায়। আলফ্রেড লর্ড টেনিসন গ্রীক পুরাণের একটি কাহিনী অবলম্বনে রচনা করেছেন এই অনন্যসাধারণ কবিতাটি। টিথোনাস কবিতাটি একটি ড্রামাটিক মনোলগ। এখানে পুরো কবিতা জুড়ে একজন বক্তা তাঁর মনের কথা গুলো বলে যান। কবিতাটির মাত্রায় কোন নির্দিষ্ট মিল বিন্যাস বা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়নি।

টিথোনাসের প্রাথমিক পরিচিতি :

টিথোনাস ছিলেন ট্রয়ের রাজা লাওমেডন এর সন্তান ও রাজা প্রায়াম এর ভাই। তাঁর মা ছিলেন স্ক্যামান্ডার নদীর কন্যা স্ট্রিমো। গ্রীক মিথ অনুযায়ী প্রভাতের দেবী ইওস অর্থাৎ আরোরা তাঁর প্রেমে পরে যায় এবং তাকে চুরি করে ইথিওপিয়াতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ে করে ও ইম্যাথিওন এবং মেমনন এর জন্ম দেয়। মেমননের আর এক নাম হল হেক্টর। পরে সে সাইকাডা নামক পোকায় রুপান্তরিত হয়। যে কখনো মরে না শুধু খোলস পালটায়।

Bangla Summary

পুরাণ কাহিনী মতে, উষার দেবী আরোরা (Aurora) ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মর্তমানব ট্রয়ের রাজা প্রায়ামের ভ্রাতা সুন্দর যুবা টিথোনাসকে বিয়ের পূর্বে টিথোনাসকে অমরত্ব প্রদান করার প্রার্থনা জানিয়েছিলেন জিউসের কাছে। জিউস টিথোনাস কে অমরত্ব প্রদান করেন কিন্তু দেবী টিথোনাসের চিরযৌবন প্রার্থনা করতে ভুলে যান। এ কারণে স্বাভাবিক নিয়মেই মর্ত্য মানবের মতোই ক্রমে বুড়িয়ে যেতে থাকে টিথোনাস। টিথোনাসকে তখন ঊষাদেবীর কাছে বোঝা স্বরূপ মনে হতে থাকে। ক্রমে আরোরা টিথোনাসের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। বয়সের ভারে প্রায় স্থবির টিথোনাস। বিগত দিনগুলোর কথা ভেবে হৃদয় হাহাকারে ভরে যায় তার। সে আবার ফিরে যেতে চায় মর্ত্যের মাটিতে। যেহেতু ঊষার দেবী তার সকল বাসনার পরিসমাপ্তির পর টিথোনাসকে আর আগের মতো কাছে টানেনা সে কারণে টিথোনাস জ্বলে মরে মর্ম বেদনায়, সে ফিরে পেতে চায় ফের মর্তের সুখী গৃহকোণ, সে সব চাওয়া পাওয়া আর প্রতারণা ভুলে যেতে চায়। অমরত্বের এই পরিমন্ডল থেকে টিথোনাসের মুক্তি পাওয়ার যে সীমাহীন আকুলতা তারই মর্মবিদারী কামনার প্রকাশ ঘটেছে এ কবিতায়।

কবিতাটি বনের গাছের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে শুরু হয় যা বক্তা টিথোনাসকে খুব কষ্ট দিতো। কারন অমর হওয়ার কারনে সে দিন দিন বৃদ্ধ হচ্ছিলো কিন্তু মারা যাচ্ছিলো না। পৃথিবীর অন্যান্য বস্তুর মত মৃত্যুবরণ করতে সে সক্ষম নয়। তাঁর যৌবন কাল অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধাবস্থা পার করছিলেন কিন্তু এই অবস্থার আর শেষ হওয়ার নয়। তিনি পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী ও মানুষের কথা স্মরণ করেন যারা যৌবনে কাজ করেন আর যৌবন শেষে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের দেখে তিনি খুব আফসোস করেন।

তারপর তাঁর সে দুর্ভাগ্যের কারন আরোরার কথা স্মরণ করেন। সে নিজেকে তখন কোন মানুষ নয় বরং একটি ছায়া আত্মা হিসেবে বর্ণনা করেন। যার কাজ হচ্ছে প্রতিদিন সকালে তাঁর স্ত্রীকে পূর্ণ যৌবনা হিসেবে দেখা কিন্তু অন্য দিকে তাঁর মাঝে যৌবনের কিছুই নেই। তারপর তাঁর পুরোণো দিনে স্মৃতিগুলো বর্ণনা করেন। যখন সে তাঁর কাছে অমরত্ন চেয়েছিল, সে তা মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু সে ভুল করে চির যৌবন চায়নি যার ফলে তাকে আজ এই অভিশপ্ত অবস্থা বরণ করে নিতে হয়েছে। প্রতি সকালেই তিনি দেখেন যখন সূর্য ওঠে, আরোরা তাঁর রথে চরে আকাশে আসে। পূর্বের স্মৃতি মনে পড়ে যায় যাকে সে একসময় কত ভালোবাসত। প্রতিদিনই তাকে সে বলে তুমি আমায় যা দিয়েছিলে তা ফিরিয়ে নিয়ে যাও কিন্তু সে নিরুত্তর।

এর পরের স্তবকে সে স্মরণ করেন আরোরার সাথে তাঁর সুখের দিনগুলো। সে কেমন ছিল বা সে তাকে কতটা ভালোবাসত। সে আফসোস করেন তাঁর এই জীবন ঠিক ছিল না। আরোরার কাছে এসে যে সুখ পেয়েছিলেন সেই সুখের কথাও স্মরন করেন। শেষ স্তবকে সে আরোরার কাছে দাবী করেন তাকে যেনো পূর্ব দিক থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তাকে যেনো মরতে দেয়া হয়। যদি তাকে তা দেয়া হয় তবে সে পৃথিবীর অন্যদের সাথে মরতে পারবে এবং সে তাঁর কবর দেখতে পারবে।