No Second Troy (Why should I blame her that she filled my days) by William Butler Yeats.

Poem: No Second Troy
by William Butler Yeats.

Why should I blame her that she filled my days
With misery, or that she would of late
Have taught to ignorant men most violent ways,
Or hurled the little streets upon the great,
Had they but courage equal to desire?
What could have made her peaceful with a mind
That nobleness made simple as a fire,
With beauty like a tightened bow, a kind
That is not natural in an age like this,
Being high and solitary and most stern?
Why, what could she have done, being what she is?
Was there another Troy for her to burn?

বাংলা অনুবাদ

কেনইবা তাকে আমি দোষ দিবো, যে মোর দিনগুলো
করেছে বেদনাময়, কিংবা যে শিখিয়েছে
অবুঝ জনদের নানা জিঘাংসার দিকগুলো
কিংবা যে সরু গলিপথ ঢুকিয়ে দিয়েছি মহানজনদেরহৃদয়ে,
তাদের মাঝেও কি ছিল সমান ইচ্ছে আর উচ্চাভিলাষ?
কি বিষয় এ রমনীকে করে দিতো শান্তমনা
আভিজাত্য তাকে তৈরী করেছে অগ্নিশিখায়,
রূপ যেন তার ধনুকের ছিলার মতোই টান টান,
ঠিক একবারেই এটা বেমানান ঠেকে আজকের কালে,
বড়োই নাক উচু নিরিবিলি আর কঠিনমনা সে,
আর এ ছাড়া সে নিজে কিইবা করতে বা হতে পারতো?
অথবা সেখানে কি সে পোড়াতে পারতো আলাদা কোনট্রয়।

বিস্তারিত

No Second Troy কবিতাটি কবি Yeats, Maud Gonne কে উপলক্ষ্য করে রচনা করেছেন। অসাধারণ রূপসী এই মডগন যাকে কবি হেলেনের সাথে তুলনা করেছেন। এইমডগনের প্রেমে পড়েন কবি। মডগন ছিলেন সে সময়ে একজন স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে সমাজের নানা স্তরে ছিল তাঁর ব্যাপক প্রভাব। মডগন কবির সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়লেও, শেষে কবিকে প্রত্যাখান করেন। কবির হৃদয়ে এই প্রত্যাখানের​ বিষয়টি চরম আঘাত হানে। বেদনায় ভরে যায় কবিরহৃদয়। কবি তাঁর কবিতায় উল্লেখ করেছেন, যে রমণীতাঁর হৃদয়কে বেদনায় ভরে দিয়েছে তাকে কোন দোষারোপ করতে চান না তিনি। তিনি এই রমণীর অহংকার আর উন্নাসিকতাকে বেমানান বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর প্রেমিকা রূপের শিখা দ্বারা নানাস্তরে প্রভাব ফেলতে সমর্থ হয়েছেন। নানাস্তরের মানুষকে প্রভাবিত করেছেন, সাধারণ মানুষের মাঝে হানাহানির পথ তৈরি করেছেন, এই রূপসী আলাদা কোন ট্রয়পোড়াতে না পারলেও ঠিক তেমনি অগ্নি শিখা প্রজ্জ্বলিতকরে ছারখার করেছেন কবির হৃদয়, জনগণের হৃদয়। কবিতার শুরুতেই কবি তার প্রেমিকাকে লক্ষ্য করেউচ্চারণ করেন তার বেদনাভরা উক্তি। কবি তারপ্রেমিকাকে দোষারোপ না করেও প্রেমিকার কঠিন হৃদয়েরনানা দিক বিশেষ করে তাঁর প্রতারণার নানা কৌশলের উল্লেখ করেছেন। কবির প্রেমিকা কবির ভালোবাসা কে প্রত্যাখান করে কবির অন্তঃকরণকে বেদনায় ভরে দিয়েছেন। কবির প্রেমিকা মডগন ছিলেন অসাধারণ রূপসী আর সে সময়ের একজন রাজনৈতিক নেত্রী।ধারালো এই রমণী যেমন ছিলেন রূপে অদ্বিতীয়া তেমনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিলেন তুখোড়। কবি বলছেন, এইরমণী, রাজনীতির ছত্রছায়ায় সাধারণ জনদের হৃদয়কে হানাহানি আর জিঘাংসার পথে টেনে নিয়ে গেছেন। তার আভিজাত্যের মাঝে কাজ করতো এক ধরণের উচ্চাকাংখা, সে উচ্চাভিলাষই তাকে করে তুলেছে বড়োই দেমাগী আর অহংকারী, কবি বলেছেন এই নারী কোনকিছুতেই স্থির ছিলনা, কোন কিছুই তার মাঝে স্থিরতা আনতে পারেনি। কবির ভালোবাসাও তাকে শান্ত করতে পারেনি।কবি প্রশ্ন তুলেছেন, কী বিষয় তাকে শান্ত করতে পারবে, কবি বলেছেন এ রমণী শুধু তার রূপের অহংকার আর দেমাগী মনোভাবের কারণে একটি আলাদা জগতে অবস্থান করতো। এ রমণীর মাঝে মমতার বদলে ছিল শুধু উন্নাসিকতা, কবি যাকে একেবারেই বেমানান বলেছেন, যা এ সময়ে একেবারেই খাটেনা। তার এই কাঠিন্যতাকে কবি সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি।কবি তার প্রেমিকাকে তুলনা করেছেন স্পার্টার রাণী হেলেনের সাথে। হেলেনের কারণে যেমন ট্রয় নগরী ভস্মিভূত হয়েছিল এ রমণী অন্য কোন ট্রয় হয়তো জ্বালিয়ে দিতে পারতো। আসলে তার এই জ্বালাময়ী রূপশিখা দ্বারা তিনি সব কিছুই যেন ছাই করেছেন, কবির অন্তঃকরণও তার এই রূপের বিভায় ভস্মীভূত। কবি তাই বলতে চান তার প্রেমিকা তার রূপ শিখা দ্বারা হয়তো আলাদা কোন ট্রয়কে ভস্মীভূত করতে পারে।